আইপিএলে তিনটি ফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। তার পরেও ট্রফি ওঠেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্যাবিনেটে। কিন্তু এ বার প্লে-অফে ওঠার রাস্তায় এত বাধা থাকা সত্ত্বেও ইডেনে এলিমিনেটর খেলতে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। বিরাটের ব্যাটে খরা চলছে। রান নেই দীর্ঘদিন। ইডেনই সাক্ষী তাঁর প্রথম ও এখনও পর্যন্ত শেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির। শেষ আইপিএল সেঞ্চুরিও ইডেনে। তাই ম্যাচের আগের দিন দলীয় বৈঠকে বিরাট নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন। আরসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরাট নাকি প্রত্যেককে বলেছেন এক ইঞ্চিও জায়গা না ছাড়তে। সর্বশক্তি নিয়ে বিপক্ষের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ তাঁর।
দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জেতার সৌজন্যে বিরাটদের এলিমিনেটরের দরজা খুলে গিয়েছিল। সোমবার বিকেলে শহরে পৌঁছেই ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি দিয়ে বিরাট লিখেছেন, ‘‘কলকাতায় পৌঁছলাম।’’ তাঁর হাসিই বলে দিচ্ছে, ইডেনে খেলার জন্য কতটা মরিয়া ছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের শক্তি তাঁদের ওপেনারেরা। কে এল রাহুল ও কুইন্টন ডি’ককের উপরে নির্ভর করেই দলের রান বাড়িয়ে নিচ্ছে লখনউ। তাঁদের কী ভাবে শুরুতে সরিয়ে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনাই তৈরি হচ্ছে আরসিবি শিবিরে। এমনকি মহসিন খানের বোলিংয়ের ভিডিয়োও নাকি চলছে আরসিবি ব্যাটারদের ফোনে।
প্রত্যেকে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, নতুন বলে কোন দিকে বেশি সুইং করান বাঁ-হাতি পেসার। লখনউ সুপার জায়ান্টস এই বাঁ-হাতি পেসারের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। বিরাট ও ফ্যাফকেই সেই কাঁটা উপরে ফেলার দায়িত্ব নিতে হবে। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ৭৩ রান করেছেন বিরাট। সেই ইনিংসের পর থেকে দলের প্রত্যেকের সঙ্গে নাকি আরও খোলামেলা ভাবে মিশতে শুরু করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক। আসলে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে তাঁর কাছে অনেক প্রত্যাশা সমর্থকদের। সেই আশা পূরণ করতে না পারার আক্ষেপ মানসিক চাপ বাড়াতে বাধ্য। যা অনেকটাই কমেছে।