মুগবেড়িয়া ব্যাঙ্ক মোড় থেকে মাধাখালি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করল তৃণমূল। সেখানে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি সহ ওই মিছিলে পা মেলান কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক তরুণ মাইতি, প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সভা হয়। সেখানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অতি প্রচার মুখী কাজের বিরুদ্ধে সরব হন মৎস্যমন্ত্রী।
অখিল বাবু বলেন, ‘জল্লাদ, চোর, ডাকাতটা এবার লোকসভা ভোটে দাঁড়াবে। তাই খেজুরি-ভগবানপুরে সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে পিছিয়ে দিতে চাইছে। সন্ত্রাস করে লোকসভা জেতার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। আপনারা প্রস্তুতি নিন। প্রতিটা অঞ্চলে আমরা যাব। কর্মী-সমর্থকরা একত্রিত হয়ে সংগঠিতভাবে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমরা ছাড়ব না।’
শনিবার থানা ঘেরাও নামে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ভূপতিনগরে তাণ্ডব দেখিয়েছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাদের মারে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্থানীয় জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অম্বিকেশ মান্না ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। থানার সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর-চুরিও করে তাঁরা। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৪ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বিজেপির এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই এদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত করে তৃণমূল। এ দিনের, সভায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি আরও বলেন, ‘যা হলেই উনি বলছেন তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। তৃণমূলকে বাধা দিতে হবে না। জনগণই ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেবেন। ৪০-৫০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখিয়েও লাভ হবে না।’
পাশাপাশি ‘পঞ্চায়েত ভোটে জিততেই হবে’ দলের জনপ্রতিনিধি ও কর্মীদের এ বার্তা দিয়ে মৎস্য মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করব, বাংলার উন্নয়নকেও তেমন এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা। রাজ্য সরকারের যাবতীয় প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলুন। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের রায় আমাদের নিতে হবে। কর্মীদের বলি, ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান যাই থাকুক সবটাই বুকে চেপে রাখুন। বিজেপির বিরুদ্ধে সংগঠিত হন। ওদের দেশ ছাড়া করতেই হবে।’