জমা পড়ল প্রচুর আবেদন। গত ১০ই মে থেকে অধ্যক্ষ পদে আবেদনপত্র গ্রহণ করছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু দেখা গেল আবেদন প্রক্রিয়া জমা দেওয়ার শেষ তারিখের আগেই জমা পড়েছে একাধিক আবেদনপত্র। তার মানে এই কদিনে জমা পড়েতে চলেছে আরও আবেদনপত্র। এই ঘটনা নজিরবিহীন জানিয়েছে কমিশনই। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ টিরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ৮০ টি কলেজ অধ্যক্ষহীন। অথচ এখনই আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১০০ টিরও বেশি। ২৩ মে থেকে ১০ জুন, সময় অনেকটা। এই কদিনে জমা পড়বে আরও আবেদনপত্র।
উল্লেখ্য, কলেজ সার্ভিস কমিশন এই ১০ বছরে বদলিয়েছে ব্যাপক। তার প্রমাণ মিলছে আবেদনের ঢল দেখেই। অধ্যক্ষ পদে এই ব্যাপক আবেদন, নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কলেজ সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ চাপ সামলাতে হত অধ্যক্ষকে। ছাত্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেখা যেত হিংসা। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হচ্ছে সেন্ট্রাল অনলাইন সিস্টেম। বন্ধ ছাত্র নির্বাচন। তাই বাড়ছে অধ্যক্ষ পদে আগ্রহ। যা পৌঁছেছে তুঙ্গে। আবার ২০১৯ সালে অধ্যক্ষদের অবসরের বয়স বাড়ানো হয়েছে ৩ বছর। তার আগে ২০১৭ সালে অবসরের বয়স বাড়ানো হয়েছিল ২ বছর। চলতিব বছর অবসর নেবেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ পদের জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম মানতে হয়। সমস্ত নিয়ম মানার পর হয় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। সেখান থেকেই বাছাই। বয়স হতে হবে ৪০ বছর। দেখা হবে প্রশাসনিক ক্ষমতা। স্নাতকোত্তরে থাকতে হবে ৫৫ শতাংশ নম্বর। থাকতে হবে পিএইচডি এবং ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা। অন্তত ১০ টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হতে হবে। ১০ টি গবেষণাপত্র এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা, এই ২ নিয়ম নতুন করেছে কমিশন। কলেজের অধ্যক্ষ হতে চেয়ে আবেদন করেছেন কলেজের শিক্ষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও।