পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ৬ দিন আগে। গ্রেফতারির ৬ দিন পর ২৮ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হল হাসপাতালে। চুরির অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানায় ‘মারধর’ করার জেরেই ধৃত যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবারের লোকেরা। বিষয়টি উপরমহলে যেতেই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। থানার ওসি-সহ মোট ৬ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। এ নিয়ে মে মাসে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জোন তিন জনের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
জানা গিয়েছে, ২৮ বছরের ওই যুবকের নাম রাহুল চৌধরী। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জান গিয়েছে, হৃদ্যযন্ত্র বিকল ও হৃদ্পিন্ডে রক্ত জমে মৃত্যু হয়েছে রাহুলের। তাঁর পরিবারের লোকের অভিযোগ, ‘পুলিশি হেফাজতে নিগ্রহ’ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন রাহুল। তার পর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ এবং মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, ১৪ মে অসুস্থ হয় রাহুল এবং ‘সঙ্গে সঙ্গে’ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। রাহুলের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ নিয়ে আলিগড়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা এবং অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দেহ সৎকার করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। এর পরই তদন্তের আশ্বাস দেয় প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
শনিবার আলগড় রেঞ্জের ডিআইজি দীপক কুমার জানান, থানার ইন চার্জ, ২ জন সাব ইনস্পেক্টর ও তিন জন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে।