দুঃসময় অব্যাহত গেরুয়াশিবিরে। রবিবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিং। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের অশনি সংকেত। ফের অন্তর্দ্বন্দ্বের আঁচ প্রকট। চাপ বাড়ল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গণইস্তফা দিতে চলেছেন বিজেপি নেতারা। আর এই সমস্যার সূত্রপাত মণ্ডল সভাপতি নিয়োগ নিয়ে। কিছুদিন আগে ময়না ও হলদিয়ায় দলের চারটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করে বিজেপি। যদিও চাপের মুখে তা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় রাজ্য বিজেপি। হলদিয়া ও ময়না বিধানসভা এলাকার চারটি মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা ও পরে তা স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে বিতর্কও শুরু হয় দলের মধ্যে। ওই চার মণ্ডল সভাপতির নাম পছন্দ হয়নি শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ দুই বিধায়ক হলদিয়ার তাপসী মণ্ডল ও ময়নার অশোক দিন্দার।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির পুরনো নেতা, কর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শুভেন্দু ও তাঁর দুই অনুগামী বিধায়ক তাপসী মণ্ডল ও অশোক দিন্দার বিরুদ্ধে। এছাড়া, নন্দীগ্রাম–১ দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি পদে বদল হয়েছে। ওই মণ্ডল কমিটির সভাপতি ছিলেন জয়দেব মণ্ডল। এবার তাঁকে সরিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মাইতিকে মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ শুভেন্দু অনুগামী বলেই পরিচিত। জয়দেব মণ্ডল এই অঞ্চলের অনেক পুরোনো নেতা। হঠাৎ করে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কর্মীরা। সেই কারণেই গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় যারপরনাই চিন্তিত পদ্মশিবির। প্রমাদ গুনছে তারা। এখন জল কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
