দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, রবিবারই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন অর্জুন সিংহ। ফিরেই পদ্মশিবিরকে একহাত নিলেন তিনি। কটাক্ষ করে বললেন, এই দলে থেকে মানুষের কাজ করা যায় না। কারণ, এই দল শুধু ফেসবুকের সংগঠন। কিন্তু মানুষের কাজটা করতে হয় মাঠে নেমে। য বরাবর সেভাবে সংগঠনের কাজ করেছেন, তাঁরা কখনও কাজের যথাযথ সুযোগ পায়নি। বঙ্গ বিজেপি শুধুই এয়ার কন্ডিশন ঘরে বসে রাজনীতি করে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এভাবেই সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের সদ্য প্রাক্তন দলেরর সমালোচনায় মুখর হলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সেইসঙ্গে দলবদলের কারণও ব্যাখ্যা করলেন। “ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলাম। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলাম”, জানালেন তিনি।
এদিন বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন বলেন, “বাংলার বিজেপি এসি ঘরে বসে আর ফেসবুকে সংগঠন করেন। আমরা, যাঁরা গোড়া থেকে মাঠে নেমে সংগঠন করি, মানুষের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। পাটের সমস্যা নিয়ে আমি বারবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেছিলাম। বাংলার পাটশিল্পের ক্ষতি মেনে নেব না। কেন্দ্রের কাছে পাট নিয়ে আমাদের যা দাবি ছিল, তার ৩০% আদায় করতে পেরেছি। ৭০% এখনও বাকি।”
এর পাশাপাশি, পাটশিল্পকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতার কথা মনে করিয়ে অর্জুন সিং বলেন, “জুটের সমস্যা অবহেলা করছিল কেন্দ্র। ৬২ টি জুটমিল থেকে ৫০, সেখান থেকে ১৫ টি। বাকি সব বন্ধ। আমি সেই লড়াইয়ের জন্য আমি মন্ত্রীকে বুঝিয়েছি। নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন মোদিকে। তারপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমি জানিয়েছিলাম, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করব। মমতার নেতৃত্বে দেশে বড় লড়াই সংগঠিত হবে। আমি সৈনিক হিসেবে তাতে থাকতে চাই।” রবিবার দলবদলের পর সোমবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন অর্জুন সিং। ৩০শে মে জগদ্দলে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় থাকবেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মদন মিত্ররা। সেখানেই প্রথম দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দেবেন অর্জুন সিং।