তৈরি হল অনন্য নজির। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করে ইতিহাস গড়লেন হুগলীর বাসিন্দা পিয়ালী বসাক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এভারেস্ট জয় করলেন তিনি। উচ্ছ্বসিত অন্যান্য পর্বতারোহীরা। আপাতত শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন পর্বতারোহী। চন্দননগরের কাঁটাপুকুরের বাসিন্দা পিয়ালী৷ বারবারই তাঁর চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। তা সত্ত্বেও এতটুকু দমেননি। আর্থিক সংকটকে তুচ্ছ প্রমাণ করে চলতি মাসেই এভারেস্টের বেস ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ১-এর উদ্দেশে রওনা দেন পিয়ালী। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় স্বপ্নপূরণ হয়। আপাতত ক্যাম্প ফোরে ফিরছেন তিনি। সামান্য বিশ্রামের পর অক্সিজেন ছাড়াই লোৎসে জয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারেন পিয়ালী।
দেশজুড়ে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন বঙ্গতনয়া। অক্সিজেন ছাড়া পিয়ালির এভারেস্ট জয়ের বিষয়টি ভাবতেই পারছেন না পর্বতারোহী বসন্ত সিংহ রায়। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেই পারছি না এটা সম্ভব। একজন ভারতীয় মহিলা পর্বতারোহী যা করেছেন, তা অসাধ্য সাধন ছাড়া কিছুই নয়।” আগামীদিনে পিয়ালির আরও সাফল্য কামনা করেছেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। আর পাঁচজনের মতো চেনা স্রোতে কোনওদিনই ভেসে থাকেননি পিয়ালী। অঙ্ক নিয়ে স্নাতক হন তিনি৷ তারপর দেখেন, বন্ধুবান্ধবরা রুটিরুজির টানে ইঁদুরদৌড়ে শামিল হয়েছেন৷ কিন্তু সেই দৌড়ে শামিল হতে মন সায় দেয়নি পিয়ালীর৷ কারণ, ততক্ষণে তাঁর মনের দখল নিয়েছে পাহাড়৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ‘হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট’-এ নাম লেখালেন পিয়ালী৷ এরপর আর ফিরেও তাকাননি৷ ২০১৮ সালে মানাসলু শৃঙ্গে পা রেখে ইতিহাস গড়েছিলেন৷ মানাসলু বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। তারপর স্কুলশিক্ষিকা পিয়ালীর লক্ষ্য ছিল সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গজয়। প্রথম কোনও ভারতীয় পর্বতারোহী অক্সিজেন ছাড়া নেপালের আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো ৮১৬৭ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট ধৌলাগিরি জয় করেন পিয়ালী। এবার অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয় করলেন তিনি। এ নিয়ে এভারেস্টের চূড়ায় দ্বিতীয়বার পা রাখলেন পিয়ালী।