তাহলে কি শেষমেশ ‘ঘর ওয়াপসি’ হতে চলেছে অর্জুন সিংয়ের? পদ্মশিবির ছেড়ে তিনি ঝুঁকছেন ঘাসফুল শিবিরের দিকে? আপাতত এহেন জল্পনা ঘিরেই সরগরম বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ব্যারাকপুরের সাংসদের দল কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ফলত স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া-নেতৃত্ব। এবার অর্জুনকে ধরে রাখতে শেষ বেলায় আসরে নামলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শোনা যাচ্ছে, অর্জুনকে রুখতে নিজেই তাকে ফোন করেন অমিত। বাংলার পাট শিল্পের বেহাল দশার জন্য মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শাণিয়ে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। বারবার মানভঞ্জনের চেষ্টাতেও কাজ হয়নি। বঙ্গ বিজেপি নিয়েও তোপ দাগেন অর্জুন সিং। বারবার দিল্লীতে ডেকে ড্যামেজকন্ট্রোলের চেষ্টাও যে ফলপ্রসূ হয়নি তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, গতকাল ব্যারাকপুর সংসদীয় এলাকার নানান জায়গায় অর্জুন সিংহের নামে পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের মাধ্যমে তাকে তৃণমূলে স্বাগত জানানো হচ্ছে, লেখাও হয় স্বাগতম। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অর্জুনের ছবি দেওয়া হয় পোস্টারগুলিতে। এর পাশাপাশি গতকাল ২১মে ফের একবার ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেন অর্জুন সিং। “আমি শুনেছি আজ সমুদ্র নাকি নিজেকে নিয়ে গর্ব করে। যেদিকে ঝড় এসেছে সেদিকেই নৌকা নিয়ে এগিয়ে চলো”, লেখেন অর্জুন। এতেই দলবদলের জল্পনায় ঘৃতাহুতি পড়ে। মরিয়া হয়েই চেষ্টায় মাঠে নামেন অমিত শাহ। তিনি কি অর্জুনের মান ভাঙাতে পারবেন? সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
