১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সিধুর কথা কাটাকাটি হয়। গুরনাম সিং ছিলেন পাতিয়ালার বাসিন্দা। গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে দু’জনের বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, গুরনাম সিংকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করেন সিধু। তারপর তাঁকে মারধর করেন। হাসপাতালে গুরনাম সিং মারা যান। জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সিধু গুরনাম সিং-এর মাথায় গুরুতর আঘাত করেছিলেন। সেই পুরনো অনিচ্ছাকৃত একটি খুনের মামলায় ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম ক্রিকেটার সিধুকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। তাঁর সুদিন এখন বদলে গিয়েছে দুর্দিনে। শীর্ষ আদালতের রায়ে পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা নভজ্যোত সিং সিধু এখন পাতিয়ালা জেলের ৭ নম্বর ব্যারাকের বাসিন্দা। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ১৬৬তম ক্রিকেটার সিধু এখন জেলের কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩। এটাই এখন তাঁর পরিচয়। আগামী এক বছরের জন্য তাঁর বাসস্থান পাতিয়ালা জেলের সাত নম্বর ব্যারাকে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে জেলে দেওয়া হয়েছে একটি টেবিল ও একটি চেয়ার, দুটি বিছানার চাদর, একটি মশারি, দুটি বালিশের কভার, তিন সেট অন্তর্বাস, দুটো পাগড়ি, একজোড়া জুতো, দুটো তোয়ালে, একটা পেন ইত্যাদি।
প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে। চি-বিস্কুট দেওয়া হবে সকাল ৭টা নাগাদ। ব্রেকফাস্ট সাড়ে ৮টার পরে। ৬টি চাপাটি ও সব্জি দেওয়া হবে। ৯টা থেকে কাজ শুরু করতে হবে। জেলার যা কাজের দায়িত্ব দেবেন তাই করতে হবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে। বিকেল ৫টা অবধি কাজ চলবে। সন্ধে ৬টার মধ্যে ডিনার দেওয়া হবে। ডিনারেও থাকবে ৬টি চাপাটি আর সব্জি। সন্ধে ৭টার পরে আবার ৭ নম্বর ব্যারাকে ঢুকে যেতে হবে।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে এক ব্যক্তিকে আঘাত করার জন্য’ সিধুকে দিতে হবে এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ। পরে সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায় খতিয়ে দেখে। বিচারপতিদের মনে হয়, সিধুকে কারাদণ্ড দেওয়া উচিৎ। শীর্ষ আদালত জানায়, কোনও ক্রিকেটার কিংবা শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী কোনও মানুষ যদি অপরকে আঘাত করেন, সে ক্ষেত্রে হাত অবশ্যই একটি অস্ত্র। সেক্ষেত্রে অপরাধের সাজা অবশ্যই প্রাপ্য। জেলে কড়া নিয়ম মানতে হবে একসময়ের পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধানকে।