চীনা আগ্রাসন নিয়ে মোদী সরকারের নির্দিষ্ট কোনও নীতি নেই। চীনকে ভয় পেয়ে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করছে তারা। বারবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে আসছেন তিনি। এরই মধ্যে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ফের সীমান্তের কাছে সক্রিয় হচ্ছে চীনের বাহিনী। প্যাংগং লেকের কাছে ফের একটি সেতু তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে তারা। এই আবহে মুখ ফের মোদী সরকারকে একহাত নিলেন রাহুল গান্ধী। লাদাখের অবস্থা ইউক্রেনের মতো হতে পারে! লন্ডনে আয়োজিত ‘আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া’ অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা।
লাদাখের ইন্দো-চীন সংঘর্ষের বিষয়টি তুলে ধরে রাহুল বলেন, ‘রাশিয়াও ইউক্রেনকে বলত আমরা আপনাদের দেশ দখল করতে চাই না। তবে ওই দেশের দু’টি জেলাকে ইউক্রেনের বলে মানতে নারাজ ছিল রাশিয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাতে ইউক্রেন ন্যাটো-র সদস্য না হয়, সেইজন্য ওই দু’টি জায়গার দখল নিতে চেয়েছিল রাশিয়া। আর এখন ইউক্রেনের হাল দেখুন!’ কংগ্রেস নেতার দাবি, ভারতের এলএসি জট না কাটলে খুব শীঘ্রই একই দশা হতে পারে লাদাখেরও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুল। বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী সবসময় নাগরিকের কথা শুনবেন। অন্তত শোনার মানসিকতা তো থাকতে হবে। আর এটা মাথায় রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে না।’ পাশাপাশি বিজেপি এবং আরএসএসকে একযোগে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি এবং আরএসএস মনে করে, ভারত ‘সোনে কি চিড়িয়া’। এটি একটি ভৌগলিক অবস্থান, যা কিছুজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যায়। তবে আমরা মনে করি ভারত সকলের। ব্রাহ্মণ থেকে দলিত, সকলকে নিয়েই এই দেশ।’
কংগ্রেস নেতার দাবি, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার মতোই অবস্থা হবে ভারতের। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতে কেরোসিন ছড়ানোর কাজ করে চলেছে বিজেপি। যে কোনও মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। শ্রীলঙ্কার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে এই দেশে।’ এর পাশাপাশি রাহুলের সংযোজন, ‘এখন আমাদের দেশে যা চলছে তাকে পরিকল্পিত আক্রমণ বলা চলে। সাংবিধানিক কাঠামোর উপর আঘাত হানা হচ্ছে। আর তার প্রভাব পড়ছে রাজ্যগুলির উপর।’