তদন্তভার নিয়ে কেন এত গড়িমসি? কেন এত সময় প্রয়োজন? এবার তপন কান্দু হত্যা মামলায় এমনই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইকেই কোণঠাসা করে দিল রাজ্য। যার ফলে ভরা এজলাসে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। তদন্তভার নিয়ে কেন সিবিআইয়ের গড়িমসি? এই প্রশ্নে সোচ্চার হলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। ইতিমধ্যেই পাঁচজন অভিযুক্ত—তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু, ভাইপো দীপক কান্দু, আশিক খান, কলেবর সিং এবং সত্যবান প্রামাণিকের জামিন খারিজ হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, সিবিআই তদন্তের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ যা অল্প সময়েই পারে, সিবিআইয়ের তা করতে এত সময় প্রয়োজন হয় কেন? তাছাড়া তদন্ত কোন পর্যায়ে সেটা আদালতকে জানাতে হয়। সেখানে সিবিআই তাও ঠিকমতো জানায় না।’ এই প্রশ্নের যথোপযুক্ত উত্তর দিতে পারেনি সিবিআই। গতকাল সওয়াল-জবাবের শুরুতেই রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন সিবিআই তদন্ত? তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য।
সেই শুনানিতে তপন কান্দু খুনের মামলায় আরও সময় চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তখনই সিবিআই তদন্তের ভূমিকা নিয়ে সরব হন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ খুন হন পুরুলিয়া ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ঝালদা-বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? কারা খুন করল কাউন্সিলরকে? সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সকল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারা। অভিযুক্ত আশিক খানকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।