ফের দুর্নীতিতে নাম জড়াল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। পাটনায় তাঁর বাড়ি-সহ বিহার ও দিল্লির ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। শুধু লালু নয়, তাঁর এক মেয়ের ঠিকানাতেও এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালুর বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় গত মাসেই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন লালু। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে নয়া মামলা প্রকাশ্যে এল।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। একাধিক পদে অর্থ বা জমির বিনিময়ে নিয়োগ করার অভিযোগ ছিল লালুর মেয়ের বিরুদ্ধেও। তবে, ঠিক কোন নিয়োগে বা কত টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে মোট পাঁচটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। ওই মামলায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথমবার জেলে যেতে হয় তাঁকে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন জেলেই ছিলেন বিহারের প্রবীণ নেতা। এর মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় লালুকে। ২০২০ বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও আরজেডিকে লড়তে হয় তাঁর অনুপস্থিতিতেই।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জামিন নিয়ে মাস খানেক আগে জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন লালু। বিশেষ সিবিআই আদালত গত ফেব্রুয়ারি মাসে লালুকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। গত মাসে এই মামলায় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট থেকে জামিন পান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার আরও এক মামলার মুখোমুখি হলেন ৭৩ বছর বয়সি লালু।