মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যুগের পর যুগ শুধু এগিয়েই গেছে। মানুষজন পড়ে রয়েছে সেই একই গতানুগতিক চিন্তাভাবনায়। মিথদের বিদায় জানাতে পারেনি অনেককেই। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও ভারতীয় পরিবারে কন্যা সন্তানের থেকে পুরুষ সন্তান পেতে আগ্রহ বেশি। একবিংশ শতকে এসেও লিঙ্গ বৈষম্য আঁকড়ে রেখেছে ভারতকে।
অন্তত সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে এমনটাই দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগজনক। একজন কিংবা দু-তিন জন নন, বরং ৮০ শতাংশ ভারতীয়দের মনোভাব এমনটাই। সেই সব পরিবার চান অন্তত একটি শিশুপুত্র জন্মাক তাদের পরিবারে।
যদিও মেয়েদের মধ্যে দেখা গিয়েছে ভিন্ন প্রবণতা। তারা কন্যা সন্তানেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমান সময়ে নারী ক্ষমতায়ন, স্বাক্ষরতা, চাকরির ক্ষেত্র-সবেতেই মহিলাদের উন্নয়ন এর আরেক কারণ। সমাজবিদদের একাংশের মতে, ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে পিতৃতান্ত্রিক মনোভাব আজও বিদ্যমান।
মা বাবার দায়িত্ব নেওয়া, সম্পত্তির অধিকারেও মেয়েদের থেকে ছেলেদেরই প্রাধান্য দেওয়া হত। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়ছিল সেখানে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যায় মেয়েদের সংখ্যার হিসেবে গড়মিল রয়েছে। মানসিকতা ও ভাবধারার যে চিত্র দেখা গিয়েছে পরিসংখ্যানে তাকেও উদ্বেগজনক মেনেছিল রাষ্ট্রসংঘ।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমীক্ষা করা হয়। দায়িত্বে ছিল ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে। তারাই এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে। সেখানে বলা হয়, এখনও ভারতীয়দের মনে একটি বিষয় প্রোথিত হয়ে রয়েছে তা হল সন্তান হিসেবে প্রাথমিক পছন্দ পুত্র, কন্যা নয়! পরিবারের উত্তরাধিকার এবং বেশি বয়সে বাবা মায়ের যত্ন করার জন্য চাই ছেলে। সমীক্ষায় অনেকেই বলেছেন, মেয়েদের ছোট থেকে মানুষ করলেও বিয়ের পর তারা পরের বাড়ি চলে যায়। তাছাড়াও অতিরিক্ত যৌতুকের বোঝাও রয়েছে।