ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে দুটি সেতু নির্মাণ করেছে চিন। বৃহস্পতিবার মেনে নিল মোদী সরকার। সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানালেন, এই সংক্রান্ত খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অরিন্দম বাগচী আরও বলেন, ‘আমরা চিনের তরফের দ্বিতীয় সেতু তৈরি করার খবর পেয়েছি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আমরা মনে করছি এই জায়গা দখল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্যাংগং হ্রদের ওপর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করছে চিন। এই সেতুর ওপর দিয়ে অস্ত্র সজ্জিত গাড়ি আনা নেওয়া করা যাবে। ২০২১ সালের শেষের দিকে প্যাংগং হ্রদের ওপর প্রথম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল চিন। গতমাসে সেটির কাজ শেষ হয়েছে। এবার প্রথম সেতুকে ব্যবহার করে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চিনা সেনা। এপ্রিলে নির্মাণকাজ শেষ করা প্রথম সেতুর ওপর দিয়ে ক্রেন-সহ নির্মাণ সামগ্রি আনা হচ্ছে। দ্বিতীয় সেতুটি প্রথম সেতুটির থেকে আকার আয়তনে অনেকটাই বড় বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, খুরনক থেকে রোডক দিয়ে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ তির পর্যন্ত পৌঁছানোর যে সরু পথ রয়েছে তার দৈর্ঘ ১৮০ কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণের ফলে এই দীর্ঘ পথ কমে হয়ে যাবে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।
গত সোমবার ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডার ইন চিফ আরপি কালিতা জানান, অরুণাচল প্রদেশে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি করছে চিনা সেনা। সেখানে সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি ৫জি মোবাইল পরিষেবা চালু করার ব্যবস্থা করছে বলে জানান তিনি। আরপি কলিতা আরও জানান, সীমান্তে চিন গ্রাম তৈরি করেছে একাধিক উদ্দেশ্যে। তবে পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতও পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে এবং পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। চিনের দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের বক্তব্য, ভারত এখনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের সঙ্গে যুদ্ধের কোনও পূর্বাভাস দেখতে পাচ্ছে না। তবে যে কোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ভারত প্রস্তুত বলে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি।