১০ লক্ষেরও বেশি চাষীকে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে নতুন করে অন্তর্ভূক্তি করল নবান্ন। গত রবি মরশুমে ৭৭ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষক ও ভাগচাষি রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। আর এখন? সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৬ লক্ষ ২২ হাজার। আরও ২ লক্ষ ৬৮ হাজার আবেদন বিবেচনাধীন। সংখ্যাটা যোগ হলে খারিফ মরশুমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়ে হবে ৮৮ লক্ষ ৯০ হাজার।
২১ মে থেকে রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার চালু হবে। চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে সুবিধাভোগী বা উপভোক্তার সংখ্যা ৯০ লক্ষের ঘরে চলে যাবে, এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। কৃষিজীবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করবে জুন থেকেই। বৃহস্পতিবার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে মুখ্যসচিব রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে করেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। মুখ্যমন্ত্রী আগেই এই প্রকল্পে টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। আগে এক একরের বেশি জমি থাকলে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হত। এই টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হয়েছে। এক একরের কম জমি থাকলেও অনুদান মিলবে ৪ হাজার টাকা।
২০১৯ সালে এই কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করে তৃণমূল সরকার। বছরে দু’বার, রবি ও খারিফ মরশুমের শুরুতে প্রকল্পের টাকা পান কৃষকরা। তবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য, জমির মালিকের পাশাপাশি ভাগচাষিরাও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এখানেই কৃষকবন্ধু এগিয়ে কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চায়ী যোজনা (পিএমকেএসওয়াই)-এর থেকে। এই তথ্য উল্লেখ করে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই কৃষকবন্ধু। কৃষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য তিনি সবসময় তৎপর। সেই দর্শনের কথা মাথায় রেখেই কৃষকবন্ধু প্রকল্পকে আরও বেশি কৃষকদের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।