স্কুলে গোমাংস এনেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। খাচ্ছিলেন টিফিনের সময়। শুধু তাই নয়, সহকর্মীদের মধ্যেও সেই গোমাংস ভাগ করেও দিয়েছিলেন। এই অপরাধেই হাজতবাস করতে হচ্ছে প্রৌঢ়া শিক্ষিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত আসামের গোয়ালপাড়া জেলার এক সরকারি স্কুলে।
অভিযোগ, প্রকাশ্যে গোমাংস খাওয়ায় উপস্থিত কিছু সহকর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে। তাঁরাই আপত্তি জানায়। পরে বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়। স্কুল পরিচালন কমিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই প্রধান শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ৫৬ বছর বয়সি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৫৩ এ ধারা ( ধর্ম, জাতপাত, জন্মস্থান, বসবাসের কারণে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি), ২৯৫এ ধারায় (কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান করার উদ্দেশে বারবার কৃত কোনও কাজ) মামলা দায়ের হয়েছে। আপাতত তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গোমাংস খাওয়া বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন খোদ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেছিলেন, ‘গরু আমাদের মা। যেখানে গরুকে পুজো করা হয় সেখানে গোমাংস না খাওয়াই ভালো’। তবে প্রবীণ শিক্ষিকাকে গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, এদেশে কি নিজের ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার স্বাধীনতাও নেই?