২০২০ সালে করোনার প্রকোপ দেখা দিতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই অবশেষে দীর্ঘ ২৬ মাস পর ফের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে। ২৯ মে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির চলাচল শুরু হবে। আর ১ জুন চালু হবে মিতালি এক্সপ্রেস।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যে অনেকের নানা শারীরিক জটিলতার কারণে বিমানে চড়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। অনেকের বিমানের টিকিট কাটার সামর্থ্য থাকে না। আবার সড়কপথে বাসে কলকাতা আসার ধকল নিতে পারে না শরীর। এই পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসা দু’দেশের সংযোগ রক্ষাকারী ট্রেনগুলি। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, একে একে চালু হয়ে যাবে বাকি ট্রেনগুলিও। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে ঢাকায়। আবার, বনগাঁ লোকালকে পেট্রাপোল পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। সেক্ষেত্রেও সীমান্ত পার করে সরাসরি ট্রেনে উঠে পড়তে পারবেন ওপার থেকে আসা মানুষেরা।
উল্লেখ্য, ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে ২০০৮ সাল থেকে। বন্ধ হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের সব দিনই এই ট্রেন চলাচল করত। ২৯ মে থেকে আগের মতোই চলাচল করবে। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশ থেকে বৃহস্পতিবার ও রবিবার এই ট্রেন ছেড়ে যাবে। ভারত থেকে আসবে দু’দিন। মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য নতুন ভাড়ার হার ঠিক করেছে দুই দেশের রেলওয়ে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, মিতালি এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এসি বার্থের ভাড়া হবে ৪ হাজার ৯০৫ টাকা। এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৮০৫ টাকা। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৭০৫ টাকা।