২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে একটি কথাও শোনা যায়নি তাঁর মুখে। বরং উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে যতটা পেরেছেন আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টিকে। তবে দীর্ঘদিন পরে এবার ফের উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বহুজন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতীকে। এক সপ্তাহে পরপর দু’বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।
বুধবার উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র, বেকারত্ব, মুল্যবৃদ্ধির মতো মারাত্মক সব বিষয় থেকে মানুষের মনকে অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য বিজেপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি ধর্মস্থানগুলিকে নিশানা করছে। বিষয়টি আর গোপন নেই। এরা পরিস্থিতি যে কোনও সময়ে বিগড়ে দিতে পারে।’ মায়াবতি মনে করেন, স্বাধীনতার এত বছর পরে মানুষের ধর্মবোধকে উস্কে দিয়ে জ্ঞানবাপী, মথুরা, তাজমহল, এবং অন্যান্য জায়গায় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে ভারত শক্তিশালী নয়, ক্রমশ দুর্বল হবে। বিজেপির এ সব কথা মাথায় রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই মায়াবতী টুইট করে বলেছিলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য বিজেপি-শাসিত রাজ্যে দরিদ্র, দলিত, আদিবাসী এবং মুসলিমদের উপরে অত্যাচার চলছে। মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। গোটা বিষয়টি দুঃখজনক।’ পাশাপাশি, সপা বিধায়ক আজম খানের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রবীণ বিধায়ক আজম খানকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এটা ন্যায়বিচারকে হত্যা করা ছাড়া আর কী! দেশের অনেক রাজ্যে অভিবাসী এবং শ্রমজীবী মানুষেরা সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন।’