বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো এবং সস্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে মামলাও দায়ের হয়। অবশেষে সেই মামলায় ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির বিশেষ এএনআই আদালত। সূত্রের খবর, ইয়াসিন মালিক নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আগামী ২৫ মে সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
বহুদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম চালানোর ও তা প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। ইয়াসিনের সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বছর দুই আগেই তাকে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তারপর থেকে জেলেই রয়েছে ইয়াসিন।
সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকা, সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য তহবিল সংগ্রহ, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং বহু চর্চিত ১২৪-এ বা রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার (১০ মে), এই প্রতিটি অভিযোগই মেনে নিয়েছিল মালিক, কোনও আপত্তি করেনি বলে জানা গিয়েছিল।
এদিন আদালত জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপ চালানোর তহবিল সংগ্রহের জন্য, বিশ্বজুড়ে একটি বিস্তৃত কাঠামো এবং প্রক্রিয়া তৈরি করেছিল ইয়াসিন মালিক। সে তার যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ বলে দাবি করত। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয় পাক সরকার এর কঠোর নিন্দা করেছে।