ফের ধর্ষণের ঘটনা ঘটল দিল্লীতে। ভয়াবহ অত্যাচারের শিকার হল এক নাবালিকা। বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে গণধর্ষিতা হল বছর তেরোর ওই নাবালিকা। অভিযোগ, দুই পর্বে এক নাবালক-সহ আট জন ধর্ষণ করে ওই তাকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক নাবালক-সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দক্ষিণ দিল্লীর ডিসিপি বিনীতা মেরি জয়কর জানিয়েছেন, নাবালিকা গত ২৪শে এপ্রিল ধর্ষিতা হলেও ঘটনা প্রকাশ্যে আসে পরে।
উক্ত ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর প্রান্তিক এলাকা ওখলায়। ওই দিন বিকেল ৫টা নাগাদ নাবালিকা তার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরের সবজি বাজারে যাওয়ার জন্য একটি অটো রিক্সায় চাপে। অভিযোগ, অন্যতম অভিযুক্ত অটো চালক শাহরুখ তাকে সবজি বাজারের বদলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোর করে মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয়। এরপর অটোর মধ্যে শাহরুখ, এক নাবালক ও অন্য এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তিগরির জেজে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালিকাকে। সেখানে আরও এক নাবালক-সহ পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করে। ওই রাতে সেখানেই নাবালিকাকে ফেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে এক অভিযুক্ত সলমান চেসি মথুরার কোসি কালানে নিয়ে যায় নাবালিকাকে।
এরপর ২৬শে এপ্রিল নাবালিকার পরিবার স্থানীয় থানায় অপরহরণের অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ১লা মে অভিযুক্ত এক নাবালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও নির্যাতিতা নাবালিকার খোঁজ মিলছিল না এরপরেও। তাকে সাকেত মেট্রো স্টেশনের পাশে দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছিল। এরপর সাকেত মেট্রো স্টেশনে নাবালিকার ছবি-সহ একাধিক পোস্টার লাগায় পুলিশ। যার পর এক ব্যক্তি নাবালিকাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনায় পরে আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। তাদের নাম মোহিত (২০), আকাশ (১৯) ও শাহরুখ (২০)। বাকিদের তল্লাশিতে তল্লাশি চলছে। অপরাধের সময়ে কাজে লাগানো অটো রিক্সাটিও খুঁজছে পুলিশ।