বাবুল সুপ্রিয়র প্রতি মানুষের অন্যরকমেরই শ্রদ্ধা ভালোবাসা রয়েছে। বিশেষত আসানসোলের সিংহভাগ বাসিন্দাই আজও তাঁকে গায়কের পাশাপাশি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির একজন নিপাট ভদ্রলোক হিসেবেই চেনে। সম্মান করে। গড়িয়া মার্কেটের উল্টো দিকে কসবার সেতুর কাছে নতুন অফিস নিয়েছেন গায়ক-নেতা-বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়৷
ইতিমধ্যে চলছে রঙের কাজ৷ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে আসবে টেবিল, চেয়ার৷ প্রয়াত রাজ্যের বর্ষীয়ান নেতা-মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে জয়ী হয়ে এবার বালিগঞ্জে ‘জনতার দরবার’ চালু করতে চলেছেন বাবুল৷ বললেন, ‘‘আমি সিস্টেমেটিক্যালি কাজ করতে ভালবাসি৷ তাই জনতার দরবার খুলছি৷ যারা আসতে চাইবেন তাদেরকে স্বাগত৷’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নীরবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বাবুল৷ যার জেরে চাপ বাড়তে পারে খোদ নিজের দলেরই অনেক সাংসদ, বিধায়কের৷ কারণ, ইতিমধ্যই দলের অনেক বিধায়ক, সাংসদকে এলাকায় দেখা যায় না বলেই অভিযোগ৷ সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন দলের আরেক ভিআইপি জন প্রতিনিধি, বসিরহাটের সাংসদ নুসরৎ জাহান৷
ইতিমধ্যেই তাঁর দেখা না পেয়ে, ‘সন্ধান চাই’ এর নিখোঁজ পোস্টারও সাঁটিয়েছেন একাংশ বাসিন্দা৷ এহেন পরিস্থিতিতে বাবুল পুরো দমে ‘জনতার দরবার’ চালু করলে দলের অন্য বিধায়ক-সাংসদদের চাপ যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য, মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের৷
স্থানীয় সূত্র বলছে, ভোটের প্রচারে বেরিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই ‘রক্ষা’ করার কাজে নেমে পড়েছেন টিম বাবুল৷ নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি ওয়ার্ডে একবার ঢুঁ মারা হয়ে গিয়েছে৷ ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে৷ বাবুলের কথায়, ‘‘প্রবলেমগুলো নেওয়া শুরু করেছি৷ কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ আমার মনে হয় পলিটিকসে ইজিয়ার ডান দ্যান সে৷ আপনি বেশি বলার চাইতে কাজটা করে দেখাতে পারেন তাহলে সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷’’