প্রতিশ্রুতি আর রইল কই! রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়াদের অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের সমকক্ষ করে তোলাই উদ্দেশ্য, এমনটাই জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রক। যদিও এবার মাদ্রাসাগুলিকে অনুদান দেওয়ার বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। নতুন মাদ্রাসাগুলিকে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে না, এই সিদ্ধান্তেই এল যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রী পরিষদ। এর আগে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব নতুন মাদ্রাসাগুলির জন্য সরকারি অনুদানের প্রক্রিয়া চালু করেছিলেন। তার উলটো পথে এবার হাঁটল যোগী সরকার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত অর্থবর্ষে মাদ্রাসাগুলির আধুনিকীকরণের জন্য ৪৭৯ কোটি টাকা বাজেট ধার্য করে যোগী সরকার। রাজ্যের ১৬ হাজার সরকারি নথিভুক্ত মাদ্রাসাকে অনুদান দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। সোমবার যোগী সরকার সিদ্ধান্ত নিল, নতুন মাদ্রাসাগুলি সরকারি সাহায্য পাবে না। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে ক্লাস বসার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি একথা জানান, যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য দানিশ আজাদ আনসারি।
উল্লেখ্য, গত ২৪শে মার্চই উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। নতুন সিদ্ধান্তটি অনুযায়ী, সব মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক অবশ্যই ক্লাস শুরুর আগে জনগণমন গাইবেন। শিক্ষা বোর্ডে অনুমোদিত সিদ্ধান্ত রূপায়ণের আদেশ বেরিয়েছে গত ৯ মে। তাতে বলা হয়েছে, মাদ্রাসায় আগে যেমন ধর্মীয় প্রার্থনা হোত, তেমন হবে। পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলাতে হবে শিক্ষক, পড়ুয়া- সবাইকেই। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড স্বাধীনতা দিবসে তাদের অনুমোদিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জনগণমন গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল। এর ৫ বছর পর স্কুলে ক্লাস শুরুর আগে জাতীয় সংগীত গাওয়া আবশ্যিক করা হয়েছে। “সব স্কুলেই জাতীয় সংগীত গাইতে হয়। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের মধ্যেও দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতে চাই আমরা। ওরা যাতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়, সে জন্যই আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে”, এমনই জানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান। যা ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
