যে হারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও জ্বালানির দাম বাড়ছে তাতে ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। বিশেষত ত্রিপুরায় পেট্রোল ডিজেল এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্কট সাংঘাতিক। পেট্রোল ডিজেল এবং দৈনন্দিক জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্কট নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস টুইটে লিখেছে, বিজেপি মানেই বিশৃঙ্খলা, বিজেপি মানেই অপশাসন! তারা কার্যকরভাবে পরিস্থিতি পরিচালনা করতে অক্ষম, ত্রিপুরার বিজেপি সরকার শুধুমাত্র জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আদেশের অর্থ সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশি সমস্যা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই নয় যেখানে বিজেপি নেতারা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করছেন।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেছেন, ‘আমাদের রাজ্যে কম পক্ষে ৩ মাসের আগাম স্টক থাকা প্রয়োজন, তবেই এই সঙ্কটের সমাধান হবে। সরকারের চিন্তা করা উচিত যে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে? জনগণ বিভ্রান্ত, জনগণ শুনতে পাচ্ছে যে কেউ বলছে ৭ দিনে রাস্তা খুলবে, কেউ বলছে ৪ মাস, তাহলে এই ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা কোথায়? এটা সরকারের দায়িত্ব যে মানুষকে কিভাবে আশ্বস্ত করবেন।” বুধবার, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস বিকেল ৪ ঘটিকায়, আগরতলা আস্টাবুল স্টেডিয়াম, বিবেকানন্দ মূর্তির নিকটে, রাজ্যের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ ধরনার আয়োজন করেছে। ত্রিপুরা সরকারের তরফে যানবাহনের জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে লাগু করা হয়েছে নির্দিষ্ট জ্বালানি তেলের মাপ।
জ্বালানি তেল সংক্রান্ত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে খাদ্য এবং উপভোক্তা বিষয়ক দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টু হুইলারের জন্য ২০০ টাকা, থ্রি হুইলারের জন্য ৩০০ টাকা এবং ফোর হুইলারের জন্য ১,০০০ টাকার বেশি তেল সংগ্রহ করা যাবে না পেট্রোল পাম্পগুলি থেকে। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক আরও বলেছেন, “ধস পড়লে বাজারে সঙ্কট চলে আসে, পেট্রোল ডিজেলের অসুবিধা হয়, এবারেও শুনলাম ধস পড়েছে, উত্তর-পূর্বের কিছু জায়গায়, কিন্তু কেন রাজ্য সরকার ৩ মাসের আগাম স্টক রাখা হয়না, কেন কোনও রকম আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়না? কেন? ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।