শোয়েব আখতার বল ছুড়তেন। এ বার সরাসরি এমন অভিযোগই করে বসলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। তাঁর ব্যাটিংয়ের মতোই সোজাসাপ্টা ভঙ্গিতে এটাও বলে দিতে দ্বিধা করলেন না যে, রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নিজেও সেটা জানতেন। ‘স্পোর্টস ১৮’-এর অনুষ্ঠানে সহবাগ বলেছেন, ‘‘শোয়েব জানত ওর কনুই ভাঙত।
ও নিজেও জানত যে, বল ছুড়ছে। তা না হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কেন ওকে নির্বাসিত করবে?’’ প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার যোগ করছেন, ‘‘ব্রেট লি-র হাত সোজা নেমে আসত। ভাঙত না। সেই কারণে ব্রেট লি-র বল ধরা যেত।
শোয়েবকে ‘বাউন্ডারি বোলার’ বলতে ছাড়েননি সহবাগ। পরিসংখ্যান ভারতের প্রাক্তন আগ্রাসী ওপেনারকে সমর্থনই করবে। শোয়েবের বিরুদ্ধে ৯০-এর উপর ব্যাটিং গড় বীরুর। দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি এবং মুলতানে ঐতিহাসিক ট্রিপল সেঞ্চুরিও রয়েছে। কেন এত দ্রুত হারে রান তুলতে ভালবাসতেন তিনি?
তাঁর ব্যাটিংয়ের মতোই সহজসরল জবাব, ‘‘সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ,সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা সকলেই তো ১৫-২০০ বলে সেঞ্চুরি করত। আমিও একই গতিতে সেঞ্চুরি করলে কেউ মনে রাখত না। নিজের পরিচয় তৈরি করার জন্যই আমাকে আরও দ্রুতগতিতে রান তুলতে হত।’’
কিন্তু শোয়েবের ক্ষেত্রে বোঝাই যেত না কোথা থেকে হাত আসছে আর কী ভাবে হাত থেকে বল বেরিয়ে আসছে!’’ সহবাগ আরও জানিয়েছেন, নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার এবং বর্তমানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ শেন বন্ডকে খেলা সব চেয়ে কঠিন ছিল। ‘‘অফস্টাম্পের বাইরে বল করলেও বন্ডের বলগুলো শরীরের ভিতর ঢুকে আসত,’’ বলে সহবাগ জানাচ্ছেন, দ্রুততমদের মধ্যে শোয়েব ও লি-ও থাকবেন।
তিনি আরও যোগ করছেন, ‘‘ব্রেট লি-কে খেলতে গিয়ে আমি কখনও ভয় পাইনি। কিন্তু শোয়েবের ক্ষেত্রে কিছুই বিশ্বাস ছিল না, ও কী করতে পারে। দু’টো চার মারলে ওর প্রতিক্রিয়া কী হবে নিশ্চিত ছিলাম না কখনও। বিমারও দিতে পারত বা গোড়ালি ভেঙে দেওয়া ইয়র্কার।