বড়সড় সাজার মুখে পড়লেন কুস্তিগীর সতেন্দ্র মালিক। চলতি কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়ালে রেফারির গায়ে হাত তোলায় কড়া শাস্তি পেতে হল তাঁকে। সতেন্দ্রকে আজীবন নির্বাসিত করেছে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন। আর কোনও দিন কুস্তি প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন না এয়ার ফোর্সের এই কুস্তিগীর। কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়ালে ১২৫ কেজি বিভাগের ফাইনালে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন সতেন্দ্র। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৮ সেকেন্ড আগে তিন পয়েন্টের আবেদন করেন সতেন্দ্রর প্রতিদ্বন্দ্বী মোহিত। রেফারি বীরেন্দ্র মালিক তাঁকে শুধু এক পয়েন্ট দেন। তার পরেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন মোহিত। ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকা সত্যদেব মালিক যেহেতু সতেন্দ্রর গ্রামের বাসিন্দা, তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। সিনিয়র রেফারি জগবীর সিংহকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
এরপর টেলিভিশনে রিপ্লে দেখে মোহিতকে তিন পয়েন্ট দেন জগবীর। ৩-৩ ব্যবধানে খেলা শেষ হয়। কিন্তু পরে পয়েন্ট কামানোয় মোহিতকে ম্যাচের জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সতেন্দ্র। তিনি ছুটে গিয়ে জগবীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে মারধর করেন। এই ঘটনায় অনেকে হতবাক হয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত কুস্তিগিররা গিয়ে সতেন্দ্রকে থামান। ঘটনার পরেই সতেন্দ্রকে সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয়। তার পরে বৈঠকে বসেন কুস্তি ফেডারেশনের আধিকারিকরা। ফেডারেশনের সচিব বিনোদ তোমর বলেন, সতেন্দ্রকে আজীবন নির্বাসিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি। “প্রধান বিচারক আমাকে বলেছিলেন রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে। আমি রিপ্লে দেখে সেই ভিত্তিতেই আমার সিদ্ধান্ত জানাই। তার পরেই সতেন্দ্র ছুটে এসে আমাকে মারতে থাকে। আমি ঘটনায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম”, জানান এই প্রসঙ্গে রেফারি জগবীর সিংহ।