রেলে প্রবীণদের টিকিটের ছাড় এখনই পাওয়া যাবে না। সংসদে দাঁড়িয়ে আগেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোঁ। কিন্তু ফের কবে থেকে ছাড় মিলবে, তা নিয়ে কিছুই জানাননি তিনি৷ ফলে এ নিয়ে ক্রমশই চিন্তা দানা বেঁধেছে। সেই ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অর্থাৎ কোভিড অতিমারির প্রথম ঢেউ থেকে ভারতীয় রেলে বন্ধ রয়েছে সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন বা বরিষ্ঠ সাধারণ নাগরিকদের জন্য টিকিটে ছাড়। বর্তমানে, কোভিড অতিমারির প্রকোপ দেশে অনেকটা মিটেছে। যাতায়াত স্বাভাবিক হয়েছে। রেলে ধীরে ধীরে ফিরেছে বেডরোল সহ একাধিক জিনিস। তবু ফেরানো হয়নি সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন। যার ফলে অসুবিধায় পড়েছেন দেশের বড় অংশের সিনিয়র সিটিজেনরা। কিন্তু, আখেরে নাকি লাভ হচ্ছে ভারতীয় রেলেরই।
হ্যাঁ, ভারতীয় রেলের দাবি অনুযায়ী মার্চ মাস থেকে ভারতীয় রেলের হাতে নাকি ১৫০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব এসেছে। এই রাজস্বের পুরোটাই নাকি সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন থেকে। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ভারতীয় রেলে চিরকালের মত বন্ধ হতে চলেছে সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন? তার কারণ, কোভিড অতিমারি পরবর্তীকালীন সময়ে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটুকু পূরণ করতে চাইবে ভারতীয় রেল। বাস্তবিকই যদি সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন বন্ধ করে দেয় রেল, তবে বড় লাভের মুখ দেখতে পারবে তারা। বিষয়টি নিয়ে একটি আরটিআই ফাইল করেছিলেন মধ্যপ্রদেশ নিবাসী চন্দ্রশেখর গৌড়। তাঁর আরটিআই-এর উত্তর দিতে গিয়েই ভারতীয় রেল জানিয়েছে, সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন থেকে তাঁদের হাতে এসেছে প্রায় ৩ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব অতিরিক্ত।
