পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ জারি রেখেছেন তিনি। সরাসরি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনে নামার বার্তাও দিয়েছেন। সরাসরি এ কথাও বলেছেন যে, বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের নয়। তাঁর হাব-ভাব দেখে ইতিমধ্যেই ‘ঘর ওয়াপসি’র পূর্বাভাস পাচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। এই প্রেক্ষিতে বুধবার বারাকপুরের বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ অর্জুনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হল নয়া জল্পনা। হিন্দিতে লেখা সেই পোস্টের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘সমুদ্রের নিজস্ব শক্তি থাকে। কিন্তু, মাঝিও কি ক্লান্ত হয়?’
আপাত ভাবে সহজ ও সরল এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। সাগর ও মাঝির উপমা দিয়ে ‘বিদ্রোহী’ অর্জুন কি তাঁর বর্তমান দল এবং নিজের তুলনা করলেন? উঠছে সেই প্রশ্ন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, অর্জুন আচমকাই ইউরোপে চলে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। কখনও পাটশিল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ, তো কখনও দলের সংগঠন নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলা— বেশ কয়েক দিন ধরেই অর্জুনকে ‘রণং দেহি’ মেজাজে দেখা গিয়েছে। আবার, তাঁর কণ্ঠে অভিমানও প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর আক্ষেপ, তিনি একাধারে দলের সাংসদ, অন্য দিকে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। কিন্তু তাঁকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। আশঙ্কা প্রকাশ করে এ-ও বলেছেন, ‘কাল যদি পদে না রাখে তো থাকব না।’ এরই মধ্যে অর্জুনের ফেসবুক পোস্ট নতুন করে জল্পনা উস্কে দিল।