আশরফ ঘানি সরকারের পতন ঘটিয়ে তালিবান কাবুল দখল করতেই কুটনীতিবিদ ও কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দূতাবাস বন্ধ করেছিল ভারত। কিন্তু এবার সেখানে দূতাবাস খোলার ভাবনা মোদী সরকারের। যার ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এবার আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের স্বীকৃতি দিতে চলেছে নয়াদিল্লী?
সূত্রের খবর, কাবুলে দূতাবাস খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ভারত। তবে কাজ শুরু হলেও শীর্ষ কূটনৈতিক কর্তারা সেখানে যাবেন না। আগের মতো পূর্ণ সক্রিয় থাকবে না দূতাবাস। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাবুলে গিয়েছিল একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল।
বিদেশমন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘এই বিষয়ে কথাবার্তা কিছুটা এগিয়েছে। আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সহায়তা পৌঁছনোর জন্য যোগাযোগ রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হতে পারে দূতাবাস।’ তবে সাউথ ব্লকের পক্ষে নাকি এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখনই তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। তাই প্রবীণ কূটনীতিবিদদের সেখানে পাঠানো হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগান সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তার দু’দিন বাদেই অর্থাৎ ১৭ আগস্ট কাবুলে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় ভারত। কিন্তু এখন সামান্য হলেও পরিস্থিতি পালটেছে। আফগানিস্তানকে মানবিকতার খাতিরে ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত। সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি পর্দার আড়ালে তালিবানের সঙ্গে আলোচনাও চালাচ্ছে নয়াদিল্লী।