শেষ দু বছরে প্রায় রকেটের গতিতে উত্থান হয়েছে গৌতম আদানির। ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ছ নম্বরে উঠে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ এই শিল্পপতির ব্যবসায়িক বৃদ্ধির সঙ্গে তাল না রাখতে পেরে ক্রমশ লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছে বাকি কোম্পানিগুলো। কিন্তু প্রদীপের নীচে অন্ধকারও আছে। একদিকে যেমন বিপুল ব্যবসায়িক বৃদ্ধি ঘটেছে, তেমনই আদানি গোষ্ঠীর ঋণের পরিমাণেও বিপুল বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। শেষ দুই বছরে আদানি গোষ্ঠীর ঋণের পরিমাণ লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে৷
প্রসঙ্গত, আদানি গোষ্ঠী হল একটি ছাতার মত। যার অধীনে গৌতম আদানির অজস্র কোম্পানি রয়েছে। সেটা আদানি পোর্ট হতে পারে অথবা আদানি উইলমার হতে পারে। এই সমস্ত কোম্পানিই আদপে আদানি গোষ্ঠীর অধীনে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শেষ দুই বছরে এই আদানি গোষ্ঠীর ঋণ চড় চড় করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছরের শেষে মার্চ মাসে আদানি গোষ্ঠীর ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.২২ ট্রিলিয়ন৷ গত বছর যা ছিল ১.৫৭ ট্রিলিয়ন। অর্থাৎ এক লাফে ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ঋণের বোঝা।
এখানেই শেষ নয়। গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠীর মোট ঋণ এর পরিমাণেও বদল এসেছে। বর্তমানে এই মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২.৩৬ ট্রিলিয়ন। এটি মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী, ইকুইটি রেশিও অনুধাবন করে। এক বছর আগেও যা ছিল ২.০২ ট্রিলিয়ন। আর্থিক বছর ২০১৯ এর হিসাব অনুযায়ী এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৯৮ ট্রিলিয়ন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিপুল বৃদ্ধি ঋণের হারে।