গেরুয়া শিবিরের দলাদলি নিয়ে কারুর বিশেষ আর জানতে বাকি নেই। উপনির্বাচনে কার্যত ধসে পড়েছে বিজেপি। সাথে গোষ্ঠী দ্বন্দ তো আছেই। তার উপর কথায় কথায় দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাংসদের দেখা যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলতে৷ এ যেন এখন জল ভাত হয়ে গিয়েছে৷
কিন্তু এবার দলের ভিতরেই দেখা দিল বিপর্যয়। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চাইছেন গেরুয়া দলের নেতা-কর্মীরাই৷ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য-রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির৷
জানা গিয়েছে, অমিতোষ বসু বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার তফসিলি মোর্চার সভাপতি ছিলেন৷ বাড়ি গাংনাপুর এলাকায়৷ কয়েক বছর আগে অমিতোষ নিজেই ‘যুব স্বনির্ভর সমিতি’ নামে একটি সমিতি চালু করেন তিনি৷
অভিযোগ, অল্প সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে স্থানীয় প্রায় তিনশো বাসিন্দার কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি৷ কিন্তু হঠাৎ করেই গতবছর ১৫ই নভেম্বর বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় ওই বিজেপি নেতা৷
এলাকাবাসীদের দাবি, একা অমিতোষ নয়, এই ঘটনায় বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা জড়িত৷ এখন বিজেপি নেতারা গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অমিতোষকে দল থেকে বহিষ্কার করে নিজেরা ভালো সাজতে চাইছেন৷ এই ঘটনায় বিজেপির বাকি নেতা-কর্মীদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
অভিযোগ উঠেছে নদিয়া জেলার রানাঘাট মহকুমার গাংনাপুরের বিজেপি নেতা অমিতোষ বসুর বিরুদ্ধে৷ জানা গিয়েছে, ওই নেতা গাংনাপুরে চিটফান্ড কোম্পানি খুলে প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন৷ এখন তাঁকে খোঁজার দাবি তুলে ও গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে রীতিমত সরব হয়েছেন এলাকার বিজেপির নেতাকর্মীরাই৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, অমিতোষ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বড়মাপের বিজেপি নেতা বলে দাবি করত৷ তাই সহজেই তাঁরা ওই কোম্পানিতে টাকা জমা রেখেছিলেন৷ কিন্তু এখন তিনি বেপাত্তা হওয়ায় সুদ দূরের কথা আসল ফেরতেরও আশা ছাড়তে বসেছেন স্থানীয়রা৷ সমস্ত ঘটনা জানার পরেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও মামলা দায়ের করেনি বিজেপি৷