শেয়ার বাজারে অভিষেক ঘটেছে দেশের সবচেয়ে বড় বিমা সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার। তবে এলআইসির সূচনাটা ভালো হয়নি। এই আবহে অন্যান্য সরকারি সংস্থার বিলগ্নীকরণ নিয়ে সতর্ক হল সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসিএল) সম্পূর্ণ শেয়ার বিক্রি করবে না সরকার তবে আংশিক ভাবে অংশীদারিত্ব ত্যাগ করবে কেন্দ্র। প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে সরকার বিপিসিএলের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি করতে পারে। এর জন্য দর আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সরকারের পরিকল্পনা ছিল, বিপিসিএল-এ নিজের পুরো ৫২.৯৮% শেয়ার বিক্রি করে ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে দরও আহ্বান করা হয়েছিল। করোনার কারণে অবশ্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চলেছিল। বিপিসিএল- এর জন্য তিনটি এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট পায় সরকার। এর মধ্যে একটি অফার এসেছে শিল্পপতি অনিল আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন বেদান্ত গ্রুপ থেকে। বেদান্ত ছাড়াও, প্রাইভেট ইক্যুইটি কোম্পানি অ্যাপোলো গ্লোবাল এবং আই স্কোয়ারের মূলধনী সংস্থা থিঙ্কগ্যাসও এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট জমা দেয়।
তবে বিপিসিএল-এর আংশিক বিলগ্নীকরণ এই আর্থিক বছরে সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ১২ মাসেরও বেশি সময় লাগবে। বিপিসিএল-এর অংশীদারি সরাসরি বিক্রির প্রতিক্রিয়ার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সরকারের বেসরকারীকরণ পরিকল্পনায় ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এর আগে ২০২০ সালে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ব্যাঙ্ক, খনি সংস্থা এবং বিমা সংস্থা সহ বেশিরভাগ সরকারি সংস্থাগুলির বেসরকারীকরণের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। যদিও এখনও এটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ধাপে ধাপে লেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে সরকার।