মঙ্গলবার ফের জেলা সফরে বেরিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ফের কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। সেই সঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেও যারা কেন্দ্রের দোষে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁদের সুবিধার্থে এদিন একটি ক্রাইসিস ফান্ড গড়ার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই ক্রাইসিস ফান্ড যাতে ঠিকভাবে চলে তার জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পূর্ত দফতর সহ মোট ৪টি দফতরকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ফান্ড পরিচালনার দায়িত্ব তিনি অর্পণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।
মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পাঠানোর আগে যাতে কর্মীরা কাজ করে কিছু হলেও পারিশ্রমিক পেতে পারেন, তার জন্য ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে হবে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে ওই আপদকালীন অর্থ তহবিল তৈরি করতে হবে। কেন্দ্র ৫ মাস ধরে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না। মানুষ কাজ করেও তাঁদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আপদকালীন অর্থ তহবিল তৈরি করার বিষয়টি দেখবেন মুখ্যসচিব। অন্য প্রকল্প থেকে টাকা নিয়ে ফান্ড তৈরি করতে হবে। পঞ্চায়েত, পূর্ত সহ ৪টি দফতর এই বিষয়টি দেখবে।’
অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরে জেলা পরিষদের অধীনে থাকা শহীদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ৫ জন কৃষকের হাতে ‘কৃষিরত্ন’ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পাশাপাশি মাওবাদী হামলায় নিহত পরিবর্গের একজন করে সদস্যকে এদিন চাকরি প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে অস্ত্র ছেড়ে আত্মসমর্পণ করা প্রাক্তন মাও লিঙ্কম্যানদেরও এদিন চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বেশ কিছু প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। মমতার অভিযোগ, ‘ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র সরকার এখান থেকে যে টাকা তুলে নিয়ে যায় তার একটা অংশ আমরা পাই। কিন্তু সেটাই এখন দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরীব মানুষেরা টাকা পাচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্র দিচ্ছে না। গরীব মান্নুষেরা খাবে কী? ১০০ কাজের টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেও লাভ হয়নি। গরীব মানুষেরা কাজ করছেন অথচ প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না।’