মঙ্গলবার তিন দিনের পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন প্রথমেই মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক সারেন তিনি৷ আর সেখান থেকেই একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান।
এদিন মমতা বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে১০০ দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বকেয়ার জন্য কর্মীদের টাকা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে, ওষুধের দাম বেড়েছে, ১০০ দিনের কাজে টাকা নেই। গরিব মানুষ খাবে কী?’ এরপরেই তাঁর পরামর্শ, ‘অন্য প্রকল্প থেকে বরাদ্দ নিয়ে ক্রাইসিস ফান্ড তৈরি করতে হবে। এই ফান্ড তৈরির দায়িত্বে মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। ৪টি দফতর এই ফান্ড তৈরি দায়িত্বে থাকবে। সেচ, পূর্ত-সহ চারটি দফতরে যেহেতু সারা বছর কাজ হয়, তাই এরা ফান্ড তৈরির ব্যবস্থা করুক।’
অন্যদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাছ কাটা, বালি কাটা, মাটি কেটে বিক্রি করা বরদাস্ত করা হবে না। যে-ই করুক, ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। প্রাকৃতিক সম্পদ এভাবে কেটে, তুলে বিক্রি করা যায় না। কাঠ চুরি কারা করছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল লাগোয়া চারটি ব্লকের বিডিওকে তা দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হলে বিডিও সংগঠনকে জানানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, ‘সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বেশি নজর রাখতে হবে। বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ট্রেনেও আসছে, দু’হাজার টাকা দিয়ে বন্দুক কিনে হামলা হচ্ছে এই রাজ্যে। এগুলো নজরদারি করতে হবে। নাকা চেকিং, টহলদারি বাড়াতে হবে। লাগাতে হবে সিসিটিভি।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘গড়বেতায় কেন পঞ্চায়েতের কাজ হচ্ছে না। উন্নয়নের কাজ শেষ করতে হবে। যে কাজ করতে বলা হবে, সেই কাজ করতে হবে।’