বীরভূম থেকে বর্ধমান জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল ইলামবাজারে অজয় নদের উপর অবস্থিত সেতু। ১৯৬১ সালে এই এই সেতু নির্মিত হয়। ভারী যান চলাচলের জন্য খুবই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। তাই নতুন সেতুর দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় নতুন সেতুর জন্য ৷ প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮৬ মিটার সেতু তৈরি করা হয়। যা ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অতি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।
সেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ও একটি রাস্তার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন। থাকেন। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ভার্চুয়ালি ইলামবাজার ও লাভপুরে দুটি সেতু এবং রামপুরহাটে একটি রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল এই দু’টি সেতু ও রাস্তা তৈরির।
অন্যদিকে, লাভপুরে কুয়ে নদীর উপর অবস্থিত সেতুটি প্রতি বছর বর্ষায় জলের তলায় চলে যেত। ফলে বোলপুরের সঙ্গে লাভপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত ৷ এখানেও দীর্ঘদিন ধরে নতুন সেতুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয়রা। সেই মতো ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে লাঘাটা সেতু নির্মাণ করা হয়।
এদিন ভার্চুয়ালি এই সেতুটিরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী । পরে সেতুর সূচনা করেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। অপরদিকে, এদিন রামপুরহাটে বাইনা মোড় আন্দি পর্যন্ত ২২.৩৫ কিলোমিটার একটা রাস্তারও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নব নির্মিত এই ‘অজেয়’ সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী প্রমুখ ব্য়ক্তিরা ইলামবাজারে এই সেতুর সূচনা করেন।