কিতনে হিসসোমে বাট গায়ে হাম, কি মেরে হিসসোমে কুছ বাঁচাহি নেহি! এবার লখনউয়ের উর্দু কবি কৃষ্ণবিহারী নুর-এর এই পংক্তি উদ্ধৃত করে রাজ্য বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। আজ মঙ্গলবার, দুটি মামলার বিষয়ে বিধাননগর এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন বাবুল। দুটি মামলাতেই ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। তারপরই নিজের পুরোনো দল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক-নেতাদের মধ্যে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি, একই ধরনের জল্পনা তৈরি হয়েছে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে নিয়েও। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবুল বলেন, ‘অর্জুন হচ্ছে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর চোখ ছিল পাখির চোখের দিকে। অর্জুন সিং কী ভাবছেন, তাইল নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। উনি অনেকদিনের রাজনীতিবিদ। উনি কী ভাবছেন, কী করতে চলেছেন, তা আমি টিভি দেখে জানব’।
এরপরই নিজের পুরোনো দলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন বাবুল। বলেন, ‘বিজেপি দলটা এখন ডিসইন্টিগ্রেটেড। নিজেদের মধ্যে এতগুলো ফ্যাকসনে ভেঙে গিয়েছে…আমাদের কৃষ্ণবিহারী নূর সাহেবের একটা লাইন আছে, ‘কিতনে হিসসোমে বাট গায়ে হাম, কি মেরে হিসসোমে কুছ বাঁচাহি নেহি’। এটাই বিজেপির অবস্থা। এদিন ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাবুল। ‘যে কোনও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেরই তিনটি পা থাকে। আর চতুর্থ পা-এর সাপোর্ট দেয় দিল্লীর নেতারা। তারা সেই পা সরিয়ে নিলেই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের চেয়ার পড়ে যায়।’ ঠিক এমন কথাই শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।