এমনিতেই উপনির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। এছাড়াও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব দলাদলি শিবিরের ভিতরকার নিত্য কোন্দল তো রয়েছেই। এবার বিজেপির টাকা দলের লোকের নয়ছয় নিয়ে বেঁধেছে ঝামেলা। গত ৫ মে শিলিগুড়িতে সভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভায় লোকলস্কর নিয়ে যাওয়ার জন্য দল থেকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বিজেপির মধ্যে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধেছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভার সংযোজক রামবিলাস গোয়েলের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে তাঁর উপর হামলার অভিযোগ ওঠে ১৬ নম্বর মণ্ডলের কোষাধক্ষ প্রদীপ মণ্ডল ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতেই প্রদীপকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, সেইসময়ে রামবিলাসের ছেলে রুচিন গোয়েল দোকানে ছিলেন। তাঁকে ব্যাপক পেটান প্রদীপ মণ্ডল ও তাঁর লোকজন। এই অভিযোগ নিয়ে জেলা বিজেপির দ্বারস্থ হন রামবিলাস। প্রদীপ-সহ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় জেলা বিজেপি। এদিন জেলা বিজেপির সভাপতি ভূষণ মোদক জানিয়েছেন, প্রদীপের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি জেলা কমিটি। তাই তাঁকে শাস্তি হিসেবে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রদীপ মণ্ডলের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িতে জমায়েত নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০০ বাস বুক করার টাকা দল দিয়েছিল রামবিলাসকে। কিন্তু সেই টাকা তিনি পকেটে ভরে রেখেছেন। কর্মীদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি। নির্জলা হয়ে তাঁরা সমাবেশ থেকে ফিরেছেন। এই অভিযোগ তুলে সমাবেশের পরের দিন অর্থাৎ ৬ মে রামবিলাসের দোকানে চড়াও হন প্রদীপরা।