কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, বিজেপিকে হারাতে হলে কংগ্রেসকেই লড়তে হবে। এবার তাঁর সেই বক্তব্যের পালটা দিল তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে – ‘কংগ্রেসই যে বিজেপির আসল বিরোধী, সেটা আর এখন মানুষ বিশ্বাস করেন না। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিরোধী মুখ। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস কার্যত অপাংক্তেয়।’ রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্য শুধু তৃণমূল বা আঞ্চলিক দলগুলিকেই ছোট করা নয়, নিজের দলের পক্ষেও যে বেশ বিড়ম্বনার, তা উল্লেখ করা হয়েছে ‘জাগো বাংলা’য়।
দিন কয়েক আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে লড়াই করা উচিত। কিন্তু রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের শেষদিন অর্থাৎ রবিবার রাহুল সেই পরামর্শ কার্যত উড়িয়ে দেন। নিজের বক্তব্যে কংগ্রেসের জনবিচ্ছিন্নতার কথা স্বীকার করেও তিনি দাবি করেন, বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই, কোনও আঞ্চলিক দল নয়। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইটা আদর্শের। আর আঞ্চলিক দলগুলির কোনও আদর্শ নেই। বিজেপিকে হারাতে হলে তাই কংগ্রেসকে কংগ্রেসের মতো করেই লড়তে হবে।
কংগ্রেস নেতার সেই বক্তব্যকে ভাল চোখে নেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার রাহুলের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় মুখপত্রে তোপ দাগল তারা। ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে ‘চিন্তনের চিন্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে – ‘নিজের ঘরই বিধ্বস্ত, আর সে কি না অন্যের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে, অন্যের ভুল ধরার ফন্দি খুঁজছে। উদ্দেশ্য একটাই, নিজের দোষ ঢেকে অন্যকে দোষী করে তোলা। যে কাজটা কংগ্রেসের তথাকথিত চিন্তন শিবিরে বহু চিন্তা করে সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধী সুচারু ভঙ্গিতে করার চেষ্টা করছেন।’ শুধু তাই নয়। রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায়।