মাওবাদী নেতারা তাঁদের আগেকার লিঙ্কম্যানদের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করা শুরু করেছে। তাঁদের সংগঠিত করে ফের তাঁদের মাওবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে চাইছে তাঁরা। এই তথ্য সামনে আসার পরেই এবারা রাতারাতি এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলতি মাসের জঙ্গলমহল সফরকালেই স্পেশ্যাল হোমগার্ড পদে চাকরির জন্য নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে মাও লিঙ্কম্যানদের হাতে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, বাংলার জঙ্গলমহলে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে চাইছে মাওবাদীরা। আর তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজে লাগাতে মরিয়া তাঁরা। কিন্তু ২০০৮ সালের মতো জনসমর্থন এখনও জোটেনি মাওবাদীদের কপালে। কারণ মমতা সরকারের হাত ধরে জঙ্গলমহলের জনতা যে আর্থসামাজিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, এলাকার যে উন্নয়ন ঘটছে, তা আর হারাতে চাইছেন না জঙ্গলমহলের জনতা। তাই এখন মাওবাদীদের নজর পূর্বতন মাও লিঙ্কম্যানদের প্রতি যারা এখনও রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো রাজ্য পুলিশে হোমগার্ডের চাকরি পায়নি।
এই তথ্য সামনে আসার পরেই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহল সফরকালেই ৩০ জন মাও লিঙ্কম্যানের হাতে তিনি স্পেশাল হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন। পাশাপাশি এই একই পদের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র তিনি তুলে দেবেন ৩জন প্রাক্তন মাওবাদী ও ৬৭ জন যুবক বা যুবতীর হাতে যাদের পরিবারের কেউ না কেউ মাওবাদীদের হাতে মারা গিয়েছেন। এই ১০০ জন চাকরিপ্রাপক ছড়িয়ে রয়েছেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। উল্লেখ্য, মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে ২০১১ সালেই পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সেই প্যাকেজের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার যুবক-যুবতীকে চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার।