আর দেরি নেই। অতি শীঘ্রই ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক সংক্রান্ত নিয়মকানুন প্রকাশ করতে পারে সরকার। শনিবার একথা জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। তাঁর দাবি, ভোটারদের আধার সংক্রান্ত তথ্য জানানোটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে কেউ তথ্য জানাতে না চাইলে তার জন্য পর্যাপ্ত কারণ দেখাতে হবে। কিন্তু, কী ধরনের কারণ দেখাতে হবে অনিচ্ছুক ভোটারদের? মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, “আধার কার্ড না থাকা বা কার্ডের জন্য আবেদন জানানো কিংবা ভোটারদের বিবেচনায় অন্য কোনও কারণ হতে পারে। আর অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে বলে আমি ভাবতে পারি না।”
প্রসঙ্গত, রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চন্দ্রের। তার আগে এদিন এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি কথা বললেন প্রবীণ এই আধিকারিক। সুশীল চন্দ্রের দাবি, তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকাকালীন দু’টি বড় নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবের মুখ দেখেছে। প্রথমটি হল বছরে চারবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর আগে বছরে মাত্র একবার নাম তোলার সুযোগ মিলত। শুধুমাত্র ১লা জানুয়ারির তারিখ অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত হত। তার পরে জন্ম তারিখ হলে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য পরের বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। দ্বিতীয় বড় সংস্কার ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্কের উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম তোলা বন্ধ করা সম্ভব হবে। ভোটার তালিকাকে পরিচ্ছন্ন করা যাবে। এই জোড়া সংস্কারে সবুজ সংকেত দিতে কয়েক মাস আগে সংসদে বিল পাশ হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিনের সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক সংক্রান্ত রুল কবে প্রকাশিত হবে? মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের জবাব, “আমার মনে হয় খুব শীঘ্রই সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। কারণ আমরা ইতিমধ্যেই এবিষয়ে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছি। যেসব ফর্মে পরিবর্তন করতে, পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলিও। এখন তা আইন মন্ত্রকের কাছে রয়েছে। আমার মনে হয় খুব শীঘ্রই এগুলিতে সবুজ সঙ্কেত মিলবে। আইটি সিস্টেমেও বদল করতে হবে আমাদের।”