প্রকাশ্যে গেরুয়াশিবিরের আভ্যন্তরীণ কোন্দল। রবিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিপ্লব দেবে। সে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ডাঃ মানিক সাহা। শনিবার বিকেলের পরিষদীয় বৈঠকে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে ত্রিপুরার রাজ্যসভার সাংসদের নামেই সিলমোহর দিল বিজেপি নেতৃত্ব। তবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পরই ফের সামনে এল পদ্মপরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব। ভাঙা হল চেয়ার টেবিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন রাজ্যেরই কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৩ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক ১০ মাস আগেই নিঃশব্দে পদ ছাড়লেন বিপ্লব দেব। জানিয়েছেন, দলের স্বার্থে সংগঠনের কাজ করবেন তিনি। বদলে, বর্তমানে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী পদাভিষিক্ত হলেন। কংগ্রেস ছেড়ে ২০১৬ সাল নাগাদ বিজেপিতে যোগ দেন সরকারি চিকিৎসক মানিক। তার পর বিপ্লব দেবের হাত ধরেই উল্কার গতিতে উত্থান হয় তাঁর। ২০১৮ সালের ভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তবে নির্বাচনের পর ত্রিপুরা বিজেপির কাণ্ডারী হন মানিক। রাজ্য সভাপতির পর ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হন তিনি। এবার নির্বাচনের ১০ মাস আগে ত্রিপুরার দায়িত্ব হাতে নিলেন মানিক। কিন্তু প্রাক্তন কংগ্রেসির এই উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না বিজেপির একাংশ। পরিষদীয় দলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই এই ক্ষোভ উগরে দেন কিছু পদ্ম-নেতা। রাজ্যের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কাও দেন বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধদের দাবি, বিধায়কদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।