কোভিড ছোবল বসিয়েছিল আগেই। তার দোসর হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে নাকানিচোবানি খাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। ২০২৩ অর্থবর্ষেও তার ঘুড়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। উপরন্তু জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও কমবে। এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করল শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ ফার্ম মরগান স্ট্যানলি। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারতের ডিডিপি বৃদ্ধির হার ৩০ বেসিস পয়েন্ট বা ০.৩০ শতাংশ কমবে। এর আগে তারা ২০২৩-এ ৭.৬ শতাংশ এবং ২০২৪-এ ৬.৭ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বৈশ্বিক মন্দা, তেলের দাম বৃদ্ধি এবং দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবে বলে উল্লেখ করেছে মরগান স্ট্যানলি।
ভারতে হু-হু করে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। ১৭ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ব্রোকারেজ ফার্ম মরগান স্ট্যানলির মতে, এই লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। নোটে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে শুধু মদ্রাস্ফীতি নয়, বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা হ্রাস, অর্থনৈতিক ফ্রন্টে চাপ, ব্যবসায় ধাক্কা এবং ক্যাপেক্স পুনরুদ্ধারে বিলম্বকে জিডিপির হার কমানোর কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্বজুড়েই জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় মুদ্রাস্ফীতি এবং চাহিদার ঘাটতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা মরগান স্ট্যানলির।
ভারতে মরগান স্ট্যানলির প্রধান অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাচড়া এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, চাহিদার ঘাটতি, আঁটসাঁট আর্থিক অবস্থা, ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব এবং মূলধন ব্যয় পুনরুদ্ধারে বিলম্বের কারণেই জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও কমবে’।