দিল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার পশ্চিম দিল্লীর মুন্দকা মেট্রো স্টেশনের ৫৪৪ নম্বর পিলারের কাছে একটি বহুতলে আগুন লাগে। মুহূর্তে সেই আগুন গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
দিল্লির ওই অফিস বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। জখম হয়েছেন আরও ১২ জন। প্রথম তলে আগুন লেগেছিল, পরে তা অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
দিল্লী পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রথম তলার রাউটার এবং সিসিটিভি নির্মাতা সংস্থার অফিস থেকে আগুন লাগে এবং অল্প সময়েই তা তিনতলা পর্যন্ত গ্রাস করে ফেলে। ঘটনার সময়ে বিল্ডিংয়ে প্রায় দেড়শো জন কর্মী কাজ করছিলেন বলে সূত্রের খবর। দমকলের প্রায় ৩০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নামে। ক্রেন এনে চলতে থাকে জানলা ভেঙে উদ্ধারকাজও। দমকল বিভাগের উপ-প্রধান সুনীল চৌধুরি জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত ৭০ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে প্রাণভয়ে অনেকেই বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘দিল্লীর এই অগ্নিকাণ্ডে আমি শোকাহত।’ আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি। একই বার্তা দেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ওই অফিস বিল্ডিংয়ে যখন আগুন লাগে, তখনও বোঝা যায়নি লেলিহান শিখা আর গলগলে কালো ধোঁয়ায় তা এমন মারণ রূপ নেবে।
দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানান, মৃত অন্তত ২৭। তবে সংখ্যা বাড়তে পারে বলে দাবি দমকল বাহিনীর। অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না দিল্লী পুলিশ।উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ১৩ জুন দিল্লীতে উপহার সিনেমায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সিনেমা হলের ভিতর থেকে ৫৯টি দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।