বিপদের নাম বিজেপি। সে বিপদ শুধু যে বাংলার জন্য তা নয়, বিপদ সারা দেশের। আর সেই বিপদের হাত থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ডিওয়াইএফআই-কে বড় বার্তা দিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সল্টলেকের সেক্টর থ্রি এলাকায় আই এ ব্লকের ‘পূর্বাশা’ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বামপন্থী যুব সংগঠন ডেমোক্র্যাটিক ইউথ ফেডেরাশান অফ ইন্ডিয়ার একাদশতম সর্ব ভারতীয় সম্মেলন। সেখানেই শনি সকালে ভিডিও বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যিনি এই বামপন্থী যুব সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। আর সবাইকে চমকে দিয়েই সেই বার্তায় তিনি বুঝিয়ে দিলেন বাংলা হোক কী ভারত, লড়তে হবে বিজেপির বিরুদ্ধেই। কেননা তাঁরাই দেশের সব থেকে বড় বিপদ।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের সংক্ষিপ্ত বার্তা, ‘বর্তমানে দেশে যে জনবিরোধী ও দমনপীড়নের সরকার চলছে তা প্রতিহত করতে পারে একমাত্র বামপন্থী আন্দোলন। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে সমস্ত প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে বাংলার ডিওয়াইএফআই কর্মীরা রাজ্যের সর্বত্র প্রতিদিন আন্দোলন সংগঠিত করছেন। তাঁদের সংগ্রামকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন এবং ডিওয়াইএফআই-এর এই সম্মেলনের সমস্ত সদস্যবৃন্দকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কার্যত বিছানায় শয্যাশায়ী। চোখেও খুব একতা ভাল দেখতে পান না। বাড়িতে অধিকাংশ সময়ই অক্সিজেন চলে তাঁর। একাধিকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ভেন্টিলেশন সাপোর্টেও রাখতে হয়েছিল বুদ্ধবাবুকে। কোভিড তাঁর শরীরে থাবা বসালেও মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে দেন তিনি। যদিও বেশ কিছুদিন তাঁকে থাকতে হয়েছিল ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু, মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ সচল রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের হাল হকিকত সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নেন তিনি। খবর শোনেন টেলিভিশনে। তাঁর আপ্তসহায়ক কিংবা স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও বুদ্ধবাবুকে খবরের কাগজ পাঠ করে শোনান। এত কিছুর পরেও বিছানায় শুয়ে শুয়েই এদিন তিনি বামপন্থীদের সামনে আগামী দিনের লড়াইয়ের অভিমুখ ঠিক করে দিলেন। তাঁর বার্তা বামপন্থী যুবদের আরও উজ্জীবিত করেছে তা বলাই বাহুল্য।