নজিরবিহীন রায়। ২০১৪ সালে চিটফান্ড মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় কুণাল ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। কিন্তু তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হল না। শুক্রবার এমপি-এমএলএ আদালতে রায় ঘোষণার সময় বিচারক মনোজিত ভট্টাচার্য বলেন, ‘কুণাল ঘোষ দোষী সাব্যস্ত। আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সামাজিক সম্মানের কথা বিচার করে তাঁকে শাস্তি দেব না’।
কুণালের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিল হেস্টিংস থানার পুলিশ। ২০১৪ সালে কুণাল যখন বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে, তখনই ঘটনাটি ঘটে। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর জেলে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষায় কুণালের পেটে প্রচুর ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায়। সেই সময়েই পুলিশ কুণালের বিরুদ্ধে জেলের ভিতরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে।
শুক্রবার মামলাটির শুনানিতে কুণালকে ওই অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করে বিচারপতি বলেন, ‘কুণালের আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কারণ আত্মহত্যা কখনওই কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না’।
কুণালের বিরুদ্ধে মামলাটি ছিল ৩০৯ ধারায়। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা আর্থিক জরিমানা হতে পারে। তবে শুক্রবার বিচারপতি জানিয়ে দেন, দোষী সাব্যস্ত হলেও কুণালের সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না।