অযোধ্যার বাসিন্দা রজনীশ সিং তাজমহলের ইতিহাস খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার পাশাপাশি এই ঐতিহাসিক ভবনে নির্মিত ২২ টি কক্ষ খোলার দাবি জানিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। এমনকি, ওই আবেদনে ১৯৫১ ও ১৯৫৮ সালের প্রণীত আইনকে সংবিধানবিরুদ্ধ ঘোষণা করারও দাবি করা হয়। তবে তাজমহলের ২২ টি দরজা খোলার মামলায় দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পাশাপাশি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) আধিকারিকদের মতে, পিটিশনে যে দাবিগুলো করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। মূলত, ওই আবেদনে বলা হয় যে, তাজমহলের ওই কক্ষগুলিতে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওইসব কক্ষ স্থায়ীভাবে বন্ধও নেই।
এই প্রসঙ্গে এক বেসরকারি সংবাদ পত্রের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছিলেন, এই কক্ষগুলি ‘স্থায়ীভাবে বন্ধ’ নয় এবং সেগুলি সংরক্ষণের কাজের জন্য সম্প্রতি খোলাও হয়েছিল। এছাড়াও, বছরের পর বছর ধরে করা নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমেও ‘মূর্তির অস্তিত্ব সামনে আসেনি’। সরকারিভাবে এই কক্ষগুলিকে ‘সেলস’ বলা হয়। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এই কাজের একজন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত পর্যালোচনা করা অনেক রেকর্ড এবং প্রতিবেদনে মূর্তিগুলির অস্তিত্ব এখনও দেখানো হয়নি।’ রিপোর্ট অনুসারে, তাজ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সমাধিটিতে ১০০ টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে, যা নিরাপত্তার কারণে জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে।
পাশাপাশি, সংবাদপত্রের সাথে কথা বলার সময়, একজন সিনিয়র এএসআই আধিকারিক বলেছেন যে, ‘২২ টি কক্ষ স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে আবেদনকারীর বিবৃতিটি বাস্তবে ভুল। কারণ ওখানে সময়ে সময়ে সংরক্ষণের কাজ করা হয়। এমনকি সাম্প্রতিক কাজেও ব্যয় হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা।’ এছাড়াও, অন্য একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ১০০ টি দরজা জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে। সেগুলি মূলত রয়েছে বেসমেন্ট, মূল সমাধির উপরের তলায়, বুর্জ, চার মিনার, সোপানটির ভিতরে এবং পূর্বে ও পশ্চিম-উত্তর অংশের চামেলি তলে। এছাড়াও, এই এলাকার অন্যান্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অনেক অংশ নিরাপত্তার কারণে জনসাধারণের জন্য বছরের পর বছর ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।