এক পরিবার, এক টিকিট! বারংবার পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে জর্জরিত হয়ে এবার এমনই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়। বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে যুবসমাজকে সামনের সারিতে তুলে আনতে একসঙ্গে দলীয় কাঠামোয় একাধিক সংস্কারের পথে হাঁটছে এই শতাব্দী প্রাচীন দল।
পরিবারতন্ত্রের বদনাম ঘোচাতে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে এক পরিবারের একজন সদস্যকেই টিকিট দেওয়া হবে। বাবা সাংসদ-ছেলে বিধায়ক, কিংবা বাবা মন্ত্রী-ছেলে সাংসদ, এসব আর চলবে না। শুক্রবার কংগ্রেসের চিন্তন শিবির শুরুর ঠিক আগে আগে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন জানিয়েছেন, এক পরিবার এক টিকিট নীতিতে মোটামুটি সবাই একমত। এই নীতি থেকে শুধু গান্ধী পরিবারকে বাদ রাখা হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এক পরিবারের একাধিক সদস্য তো টিকিট পাবেনই না। কোনও নেতার আত্মীয়কে টিকিট পেতে হলেও তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে হবে।
শোনা যায়, কংগ্রেসের অন্দরে ‘বৃদ্ধ’ নেতাদের দাপট এতটাই বেশি যে, অনেক তরুণ প্রতিভা সুযোগ না পেয়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অশোক তানওয়ার, জিতিন প্রসদা, আরপিএন সিংদের দলত্যাগই তার প্রমাণ। যুবসমাজের প্রতি বঞ্চনার এই অভিযোগ খণ্ডন করতেও গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইসিসি। অজয় মাকেন জানিয়েছেন, কংগ্রেসের পদাধিকারিরা আর এক পদে পাঁচ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। প্রয়োজনে ৩ বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডও চালু করা হতে পারে। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের সব কমিটিতে অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যের বয়স পঞ্চাশের নিচে রাখার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হাত শিবির।