ক্রমশ বিশ বাঁও জলে ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তা। মোদী সরকারের প্রথম চার বছরে ট্রেনের মধ্যে এবং স্টেশন চত্বরে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধের ঘটনা। খোদ সরকারি তথ্যই জানান দিচ্ছে তেমনটা। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই তথ্যে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত হিসেবের উল্লেখ করা হয়েছে। আর তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে ট্রেন ও স্টেশন চত্বরে অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ২৭ হাজার ৯২৮টি। ২০১৫ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৬০টি। ২০১৬ সালে এহেন ঘটনার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫টি। ২০১৭ সালে ৭১ হাজার ৫৫টি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত ট্রেনের মধ্যে এবং রেল চত্বরে অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৫৯২টি। এমনটাই বলছে রেল বোর্ডের তথ্য।
পাশাপাশি, আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২০১৪ থেকে ২০১৭, এই সময়সীমায় রেল চত্বরের তুলনায় ট্রেনের মধ্যে বেশি অপরাধ ঘটেছে। এই প্রসঙ্গেই বারবার সামনে আসছে ট্রেনের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি। যদিও এই সরকারি তথ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চাননি রেল বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিকরা। রেলমন্ত্রক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ট্রেন যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম সমঝোতার রাস্তায় হাঁটা হয় না। বিশেষ করে দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে সফররত মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকে রেল। এক্ষেত্রে যে ‘মেরি সহেলি’ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে, তার আওতায় যেসব মহিলা যাত্রী একা সফর করছেন প্রত্যেক স্টেশনে আরপিএফ কর্মীরা সেই যাত্রীর খোঁজখবর নেন। কোনও অসুবিধে হলে কিংবা সমস্যার সৃষ্টি হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। উল্লিখিত সরকারি তথ্যে ট্রেনের মধ্যে এবং স্টেশন চত্বরে যেসব অপরাধকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল খুন, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, শিশু অপহরণ, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, প্রতারণা, মাদকের ব্যবহার প্রভৃতি। পাশাপাশি মহিলাদের উপর অন্যান্য অপরাধকেও আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। তালিকাভুক্ত করা হয়েছে গোষ্ঠী সংঘর্ষের মতো ঘটনাকেও। ওয়াকিবহাল মহলের মত, পুরোটাই উদ্বেগজনক।