সবকিছুই যেন দুঃস্বপ্নের মতো। মাথায় হুড়মুড় করে আকাশ ভেঙে পড়েছে সাধারণ মানুষের। রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে আটা। পাতে বিস্বাদ লাগছে রুটি। বিগত বছরের তুলনায় আটার দামের রেকর্ড দাম বেড়েছে সারা দেশে।
মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। একে তো দেশে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এখনও হয়নি। তার উপর দাবদাহের দাপট। সব মিলিয়ে গম চাষের হাল সঙ্গীন। এই সময় ডিজিটালের খবরে আমরা এর আগে দেখিয়েছিলাম, কী ভাবে দেশে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গম চাষ।
গম চাষের অব্যবহিত ক্ষতির পরেই দাম বেড়েছিল গমের। সারা দেশে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছিল গম। গত বছরের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় 13%। প্রায় 33 টাকার কেজি প্রতি হিসাবে দেশে বিক্রি হচ্ছে গম। গমের দাম যখন বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা করা হয়েছিল আটার দাম বৃদ্ধি পাবে। বাস্তবিকই আজকের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আটার দামে বড় বদল দেখা গিয়েছে।
প্রথম কারণ যদি হয়, দাবদাহ অথবা আবহাওয়া– দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই হচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি৷ মূল্যবৃদ্ধির কারণে গোটা দেশ নাজেহাল। দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কিং সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা RBI এর হিসাব অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধি ইতিমধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। রাশ টানতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে RBI। কী সেই সিদ্ধান্ত? রেপো রেট বৃদ্ধি। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে রেপো রেট বৃদ্ধি করেও সামগ্রীর দাম কমানো যাচ্ছে না। এখন করণীয় কী? উঠছে প্রশ্ন।
কেজি প্রতি আটার দাম 32.78 টাকা। প্রায় 33 টাকার কাছাকাছি। 9.75% হারে বেড়েছে দাম। বিগত বছরে এক কেজি আটা কিনতে খরচ হয়েছে 30 টাকা। সেখানে এক বছরের মধ্যে আটার দাম বেড়েছে 3 টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রীর দাম বাড়ছে। চাল-ডাল-ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে নাগাড়ে। এবার তালিকায় আটা। মধ্যবিত্ত ঘরে আটা নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর মধ্যে পড়ে। সেখানে এই দাম বৃদ্ধির স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রাখবে নাগরিকদের।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,এই দাম বৃদ্ধির কারণ কী? তাপমাত্রা একটা বড় কারণ। সারা দেশে এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও দাবদাহের প্রভাব পড়েছে প্রবল। মার্চ-এপ্রিল মাসের প্রবল গরমে চাষের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের অভাব চাষিদের কাছে অভিশাপের মত এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই, গমের ফলন কমেছে। তারই প্রভাবে বেড়েছে আটার দাম।