উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৩ লাখ কৃষকের থেকে পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা ফেরত নিতে চলেছে সরকার। যোগী রাজ্যে কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে বড়সড় জালিয়াতি সামনে এসেছে। তারপরই এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত এমন ৩ লাখ ১৫ হাজার ১০ জন সুবিধাভোগীর সন্ধান মিলেছে, যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন। তাদের দেওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার করা হবে। এই কৃষকদের অধিকাংশই করদাতা। অর্থাত্, তাঁরা আর্থিক ভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল। এই আবহে মুখ্যসচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২.৫৫ কোটি কৃষক রয়েছেন, যাঁরা অন্তত একবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬.১৮ লাখ কৃষক এমন আছেন, যাদের আধার নম্বর ভুলভাবে ডেটাবেসে প্রবেশ করানো হয়েছে অথবা আবেদন এবং নথিভুক্ত আধার কার্ডের নামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ ধরনের মানুষ পরবর্তীতে আর এই প্রকল্পের আওতায় কোনও কিস্তির টাকা পাননি। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, কোনও কোনও যোগ্য কৃষকের নাম আবার ডেটাবেসে আপডেট করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ৩১ মে-এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধির সমস্ত সুবিধাভোগীদের ই-কেওয়াইসি করার নির্দেশ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ সুবিধাভোগী ই-কেওয়াইসি করতে পেরেছেন। কৃষকরা নিজেরাও নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে পিএম কিষাণ পোর্টাল বা কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে ই-কেওয়াইসি করতে পারেন। যদি তা না করানো হয়, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁদের কিস্তি পেতে অসুবিধা হবে। মুখ্য সচিব রাজস্ব ও কৃষি দফতরের একটি দল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩০ জুনের মধ্যে অবৈধ আধার, নামের অমিল এবং নতুন আবেদনের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে এই দলকে।