ফের আমজনতার বিক্ষোভের মুখে পদ্ম-নেতারা। ‘রাজনীতি চাই না’ স্লোগান তুলে কালো পতাকা আর অস্ত্র হাতে, গো ব্যাক স্লোগান তুলে দেউচা পাচামি প্রকল্প এলাকায় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতাদের পথ আটকে জানিয়ে দিল আদিবাসী সম্প্রদায়। বৃহস্পতিবার, মথুরাপাহাড়ি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ কালো পতাকা এবং তির-ধনুক হাতে নিয়ে মিছিল করেন। “শুভেন্দু অধিকারী গো ব্যাক, সুকান্ত মজুমদার গো ব্যাক”- স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে। জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা মঞ্চের ব্যানারে এই তরুণরা জানিয়ে দেন, কোনও রাজনৈতিক নেতা বা দলকে এলাকাকে নিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। ঘোলাজলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও। দেউচা পাচামি খনি প্রকল্প এলাকায় তাঁকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এদিন মথুরাপাহাড়ি গ্রাম সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য বিজেপির নেতারা। সেই মিছিলের গ্রামে রুখতে পালটা মিছিল করে প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা মঞ্চ। বিজেপি নেতাদের ‘দালাল’ বলেও কটাক্ষ করা হয়। এদিন, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “বিজেপি-সহ বিরোধীরা কয়লা শিল্প আটকাতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে আসছে। আজকে যে বিজেপি আদিবাসীদের জন্য মায়াকান্না কাঁদছে, তাদের রাজ্যে আদিবাসীরা বঞ্চিত। প্রস্তাবিত খনি প্রকল্পের কাজ যখন অনেকদূর এগিয়েছে, সরকারি প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে। আদিবাসীরা সাড়া দিয়ে সেটা গ্রহণ করতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ঘৃণ্য বিরোধী রাজনীতি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের রুটি সেঁকতে চলে যায় বিজেপি। রাজ্য সরকার ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প রুখতে চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কারণ, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলার উন্নতি হবে।” শাসকদলের অভিযোগ, এই গতি স্তব্ধ করতেই এলাকার কিছু মানুষকে খেপিয়ে তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের মধ্যে একটি অংশ কিছুদিন আগে নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। তারপরই আন্দোলন থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।